
শিকাগোর রাস ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের একদল বিজ্ঞানী এ গবেষণা চালান। স্ট্রোক সাময়িকীতে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা জানান, স্ট্রোক করে মারা যাওয়া ৪১৮ জন ধর্মযাজক ও নানকের মস্তিষ্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, মিনি স্ট্রোকের কারণে ২৯ শতাংশ ব্যক্তির মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালী সাধারণ স্ক্যানে ধরা পড়ে না। ক্ষতিগ্রস্তের মাত্রা বেশি হলে পক্ষাঘাতগ্রস্তের মাত্রাও বেশি হয়।
গবেষকরা জানান, ৮৫ বছর বয়সের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষের শরীরে পারকিনসন্স রোগের সীমিত লক্ষণ, যেমন-হাঁটাচলার গতি মন্থর হওয়া, স্থির হয়ে যাওয়া, শিহরণ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অচল হয়ে যাওয়া।
গবেষকরা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ময়নাতদন্তের সময় অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে মস্তিষ্ক পরীক্ষা করা হয়। এতে মিনি স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। কিন্তু আগে সাধারণ স্ক্যানে ওই বিষয়টি ধরা পড়েনি।
গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক অ্যারন বুচম্যান বলেন, ‘বিষয়টি অবাক হওয়ার মতো। ধরেই নেওয়া হয় বার্ধক্যে পারকিনসন্সের হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিন্তু কেন? আমরা সেটাই জানার চেষ্টা করেছি। এ গবেষণার মাধ্যমে আমরা মিনি স্ট্রোক ঠেকানো বা এর প্রভাব কমাতে সক্ষম হব।’ সূত্র : বিবিসি অনলাইন।