বিসমিল্লাহির রাহমাণীর রাহীম
সবাইকে সালাম জানিয়ে শুরু করছি আজকের দিনের প্রথম ও শেষ পোষ্ট। আজকের দিনের প্রথম পোষ্টটি কোন সফটওয়্যার বা ইনকাম সাইট রিভিউ নিয়ে লেখা নয়। অনলাইনে আমরা অনেকেই ইনকাম করি এই ইনকামের অর্থ বিভিন্ন কার্ড বা একাউন্টের সাহায্য যেমন- এলার্টপে, পেপাল, মানিবুকার্স ইত্যাদির মাধ্যমে নিজের পকেটে আনা যায়। কিন্তু সমস্যা হল -অনেকেই ঠিক করে বুঝতে পারছেন এখানে কি ভাবে একাউন্ট ওপেন করতে হয়, কি সুবিধা-অসুবিধা আছে, দরকারী কোন পরামর্শ অআছে কিনা ইত্যাদি। এই সাইটে ইতিপূর্বে হয়ত অনেক ব্লগার ভাই এই বিষয়ে পোষ্ট করেছেন। আপনারা সেইগুলো পড়ে অনেকটা ইতিবাচক ধারনা পেয়েছেন বলে মনে করছি। যাইহোক আবার অনেকেই আছেন- যাদের মনে এখনো সচিত্র প্রতিবেদন ও এর ব্যবহার জানার জন্য মনে উসখুস করছে। তাই আজকের তাদের জন্য এই পোষ্ট কাষ্টমাইজ হিসাবে প্রকাশ করছি। আশা করি অনেকের উপকারে আসবে।
ইনকামের টাকা/অর্থ পাবার অনেকগুলো মাধ্যম আছে- যে গুলো পূর্বেই উল্লেখ করেছি। এর মধ্য বর্তমানে বাংলাদেশী তথা আপনাদের উপকার স্বার্থে ও সুবিধার প্রেক্ষিতে আজকে এলার্ট পে নিয়ে আলোচনা করব। ইতিপূর্বে পিসি হেল্প লাইনে বিভিন্ন পোষ্টের কমেন্টে অনেক ভাই/বন্ধুরা অনুরোধ করেছিলেন- কি ভাবে এলার্টপে একাউন্ট পেতে পারি বা ওপেন করতে পারি। আজকে তারা এই সুযোগটি গ্রহন করতে ভূলবেন না।
তবে এই পোষ্টটি বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখব- আপনারা কাজ শুরু করবার পূর্বে প্রথমত আমার এই পোষ্টটি একবার ভাল করে পড়ে নিন। কোথায় কি সমস্যা বা দরকারী পরামর্শ আছে তা নোট করে নিন- । অবশ্য কাজের সুবিধার জন্য আমার এই পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিয়ে এটি অনুসরন করে এলার্টপের কাজ শুরু করতে পারবেন। আশা করি তাতে বুঝতে অনেক সুবিধা হবে।
আপডেটেড-(১৫/০৫/২০১২)
অনেকদিন পর এলার্টপের ২য় অংশ নিয়ে পোষ্ট করা হল। মূলত নিজের পড়াশোনা ও অন্যান্য ব্যতি-ব্যস্তার কারনে এতদিন পোষ্ট করার সময় হয়ে উঠেনি। সেই সম্মানীত পাঠকদের কাছে আন্তরিকভাবে দু:খখিত। যাইহোক এলার্টপের ২য় ও শেষ পর্ব পাঠ করতে নিম্ন প্রেরিত লিংকে ক্লিক করলেই হবে।
আসুন ঝটপটভাবে এলার্টপে একাউন্ট তৈরি করে নিই A-Z! ও আলোচনার ব্যবহার কৌশল (২য়/শেষ পর্ব)!!
একার মুল আলোচনায় আসি-
এলার্ট পে একাউন্ট
প্রথমত জানা যাক- এলার্ট পে কি?
এলার্ট পে একটি পেপালের মতই ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সহজ ও জনপ্রিয় পদ্ধতি। মুলত যারা নেটের বিভিন্ন সাইটে ইনকাম করেন তারা তাদের অর্থ গ্রহনের জনন্য, পাবার জন্য এলার্ট পে ব্যবহার করেন। এলার্টপের সদর দপ্তর বাড়ী কানাডাতে।অর্থাৎ এটি একটি কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান।২০০৪ সালে মাত্র ৬ জন
কর্মচারী নিয়ে এলার্ট পে যাত্রা শুরু করে। এখন এটি বর্তমানে প্রায় ২৫০ জনের অধিক কর্মচারী ও ১ কোটির বেশী গ্রাহক নিয়ে একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১০,০০০ নতুন ব্যবহারকারী এলার্ট পে সাইটে রেজি করছে।বিশ্বের প্রায় ২০০ টি দেশে এর সার্ভিস চালু রয়েছে। এখানে প্রায় ২৫ টি মুদ্রায় অর্থ লেনদেন করা যাবে।তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের ৫২ টি দেশে জোনাল ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে থাকেন।
ছবি- কারেন্সীর (মুদ্রা)
বাংলাদেশকে এলার্ট পে কতটুকু সাপোর্ট করে?
বর্তমানে বাংলাদেশকে ইন্টারনেট লেনদেনের সাপোর্ট হিসাবে এলার্ট পে গ্রহন করেছে। এখন বাংলাদেশী যে কোন ইউজারই এলার্ট পে থেকে টাকা গ্রহন বা লেনদেন করতে পারবেন। যদিও বাংলাদেশে এর কোন অফিস কার্যক্রম নাই তাতে কোন সমস্যা নাই। কেননা, গ্রাহকরা যখন এই সাইটে রেজি করবেন তাতে বাংলাদেশ হিসাবে শো করবে। সুতরাং প্রমাণ হিসাবে বলা যায় এলার্ট পে কর্তৃপক্ষ আমাদের সোনার বাংলাদেশকে বরণ করে নিয়েছেন। তারা যদি আমাদেরকে একসেপ্ট না করতেন তাহলে সেখানে বাংলাদেশ লেখা থাকত না। যেমন- আপনি পেপাল সাইটে যান সেখানে রাজি করবার সময় Country হিসাবে Banhladesh পাবেন না। তবে আপনাদের জন্য সুখবর হল- এলার্টপে সম্প্রতি বাংলাদেশী গ্রাহকদের জন্য এলার্টপে মাষ্টারকার্ড ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। এবং অতি দ্রুতভাবেই তারা এই দেশে অফিস কার্যক্রম শুরু করবে।
কি ভাবে একাউন্ট তৈরি করবেন?
এলার্টপে সাইটে তিন ধরনের একাউন্ট তৈরির সুযোগ দিয়ে থাকে তথা-
1. Personal Starter
- 2. Personal Pro
- 3. Business
এর মধ্য যে কোন একটিতে বিনামূল্য রেজিঃ করা যায় এবং পরবর্তীতে যে কোন সময়ে একাউন্ট পরিবর্তন বা আপগ্রেড করা যায়।তিনটি একাউনটের সাহায্য নিরাপদে কেনাকাটা করা ও বিনামূল্য অন্য ব্যবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। অবশ্য এর বাইরে তিনটি একাউন্টের আলাদা সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে যেমন-
১. Personal Starter – এই ধরনের একাউনটের একমাত্র সুবিধা হচ্ছে অন্য এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা দিতে/নিতে কোন ফী লাগেনা। তবে এখানে কোন ক্রমেই ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা পাওয়া যাবে না। এবং মাসে ৪০০ ডলারের বেশী অর্থ গ্রহন করা যাবে না এবং সব পেমেন্টসহ ২০০০ ডলারের বেশী অর্থ গ্রহন করা যাবে না।
২. Personal Pro-
যারা ফ্রিল্যান্স বা অন্য সাইটে কাজ করেন তারা এখানে সকল ধরনের সুবিধা পাবেন। এথানে টাকা গ্রহন বা প্রেরনের কোন সীমাব্ধতা নাই। তবে এখানে অন্য এলার্ট পে ইউজার থেকে টাকা গ্রহন করলে ২.৫% + ০.২৫% ডলার ফী দিতে হয়। এর আরেকটি সুবিধা হল- ব্যবহারকারীর নিজের কোন ওয়েব সাইট বা ব্লগ থাকলে এলার্ট পে যুক্ত করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন ও গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
3. Business-
এই একাউন্টির সাহায্য আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি একাউন্টির সাহায্য একাধিক ব্যবসায় পরিচালনা করা যায়। এবং অন্য সকল সুবিধা ও সার্ভিস চার্জ Personal Pro একাউন্টের মতই।
আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে নিম্নরুপ একটি চিত্র প্রদর্শন করছি।এখানে যাবতীয় সুবিধা, সার্ভিস চার্জ ও ফী এর তালিকা দেয়া আছে-
আপনি কোন একাউন্টটি ওপেন করবেন?
এখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন কোন একাউন্ট টি গ্রহন করবেন উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে। তবে আমার পরামর্শ হল-
১। আপনি প্রথমত রেজিষ্ট্রেশনের সময় Personal Pro একাউন্টটি গ্রহন করুন। এখানের সুবিধা হল- এলার্টপে একাউন্টের রেফারেলের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এলার্টপের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় তা আমার এই পোষ্টের পরবর্তী অংশটুকু পড়ুন।
একটি কথা মনে রাখুন- প্রথমভাবে একবার Personal Starter ফ্রি একাউন্ট ওপেন করলে কাউকে রেফারেল দিয়ে সহজে আয় করতে পারবেন না।
তাহলে এবার কাজ শুরু করা যাক-
এলার্টপের মাধ্যমে ইনকাম
কাজ শুরু করবার পূর্বে একটি কথা! অআপনারা হয়ত অনেকে শুনে আশ্চর্য হবেন যে, এলার্ট পে একাউন্ট করার পাশাপাশি অর্থ ইনকামও করা যায়। অর্থা এলার্টপে একাউন্ট আমাদের পকেটে অর্থ গ্রহন করবার সুযোগ করে দিচ্ছে আবার ইনকামের পথ ও বাতলে দিচ্ছে। কি মজাটাই না!! এক ঢিলে ২ পাখি মারা।
এই সুযোগটি সবাই ইচ্ছামতো কাজে লাগাতে পারবেন না।-কিছু নিয়ম নীতির ব্যাপার আছে- এখন আমি আপনাদেরকে সেটি বলব।
এটি করতে হলে যিনি এলার্টপের বৈধ গ্রাহক তার রেফারেল দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।অর্থাৎ এলার্টপেতে ঐ গ্রাহককে একাউন্টের মেয়াদ প্রায় ৩ মাসের বেশী হতে হবে।এবং মিনিমাম হলেও একবার অর্থ উত্তলোন করেছেন এমন হতে হবে। তারপর আপনি ঐ রেফারেলে গ্রাহক হলে পরবর্তী আপনার বন্ধু বা পরিচিতদের আপনার রেফারেল দিয়ে কিছুটা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে রেফারেল হিসাবে-প্রায় ০.১২ ডলার হিসাবে পাওয়া যায়।
একাউন্ট ওপেন করবার পূর্বে কিছু পরামর্শ-
১। একাউন্ট ওপেন করবার পূর্ব কিছু নিয়ম নীতি আছে। সেই গুলো একটু নোট করে নিন-
যেমন- ১। একাউন্টে আপনার যে নাম দিবেন তা ঠিক করে নিন।এখানে পক্সি হিসাবে কারোর নাম দিবেন না। বা ভূয়া একাউন্ট ওপেন করতে যাবেন না।কারন এটা কোন ভাওতাবাজী সাইট নয়। প্রতিটি কাজের এখানে ভেরিফিকেশন করা হয়। তাই সাবধান!
২। বিশেষ করে যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছেন বা ভোটার হিসাবে অন্তভূক্ত হয়েছেন তারাই এই একাউন্ট ওপেন করার উপযুক্ত। এখানে যে নাম দিবেন তা ভোটার অআইডি অনুসারে দিতে হবে। মিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এখানে মুল ব্যাপার নয়। বিশেষ করে এলার্ট পেতে যখন টাকা উঠাতে যাবেন সেখানে ব্যাংক একাউন্ট ও এলার্টপে একাউন্টে কিন্তু একই নাম হতে হবে। সঠিক না হলে কোনভাবেই অর্থ উত্তলোন করতে পারবেন না। অবশ্য এখানেও ভেরিফিকেশনের ব্যাপার আছে। যারা ব্যাংকে এর মাধ্যমে টাকা উঠাতে যাবেন বিশেষ করে চেক নিয়ে সেখানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অআপনার ভোটার অআই.ডি চাইবেন।
৩। আমি নিজেও অবশ্য এমন অসুবিধার সম্মুখে পড়েছিলাম। আমি একটি সাইটে ইনকাম এর কাজ করতাম। সেখানের একাউন্টে আমার নাম সনদপত্রনুসারে লিখেছিলাম। যথন ব্যাংকে গেলাম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে টাকা প্রেরন করলেন না। বললেন, আপনার ভোটার আই.ডি কার্ড সংশোধন করে নিয়ে আসুন। মূল ব্যাপরা হল- আমার ভোটার আইডি ও সার্টিফিকেটে নাম একই রকম ছিল। কিন্তু সেখানে নামের অক্ষরের হেরফের ছিল বলে এই সমস্যা হয়েছিল। পরবর্তীতে কষ্ট করে আমাকে পূনরায় একাউন্ট করতে হয়েছিল।
৪। মুলত এমন কিছু সাইট আসে যেখানে কোনভাবেই নিজের নাম ও মেইল ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়না। যেমন- এলার্ট পে, পেপাল।তাই এখানে সঠিকভাবে কাজটি করতে হয়।
৫। এলার্ট পে একাউন্ট করতে নতুন করে একটি মেইল একাউন্ট ওপেন করে নিয়ে কাজটি করলে ভাল হয়। আর এই মেইল একাউন্টির প্রমান হল আপনিই এলার্টপে একাউন্টের মালিক ও আপনিই অর্থ পাবেন। অবশ্য যাদের পূর্বে মেইল একাউন্ট আছে সেটি থেকে করলেও সমস্যা নাই।
৬। প্রথমত এলার্ট পে একাউন্টে রেজি এর সময় নাম, সেইল ঠিকানা সঠিক করে দিবেন। কেননা, ভূল হলে পরবর্তীতে কোনভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না।অন্য ঠিকানা বা তথ্য গুলো পরিবর্তন করা যাবে।
৭। রেজি এর ২য় পর্যায়ে একটি পিন নম্বর দিতে বলবে। এখানে আপনার পচ্ছন্দনীয় ৬/৮ সংখ্যার পিন নং দিন। এখানে আপনি আপনার পরীক্ষার রেজি বা রোল নং হিসাবে দিতে পারেন। আমি কিন্তু আমার বিশ্বৰ রোল নং ব্যবহার করেছি যাতে মনে থাকে। তাছাড়া পিন নম্বরটি লেখা রাখা ভাল। আপনি যদি পিন নম্বর ভুলে যান তাহলে কোনভাবেই নতুন পিন নিতে বা পরিবর্তন করতে পারবেন না। আবার এলার্ট পে থেকে কোন সমাধান পাবেন না। তাই এখানে বিফলে গেলে আরেকটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
৮। রেজিঃ শেষ পর্যায়ে ক্যাপচা কোড পরিবর্তন করতে হয় এটি অনেক ঝামেলার কাজ। ক্যাপচা সঠিক পূরন না হলে একাউন্ট তৈরি হবে না। আসলে এলার্টপেতে ক্যাপচা বুঝতে অনেক অসুবিধা সৃষ্টি করে। এখানে পরামর্শ হল- আপনি যে ক্যাপচাটি বুঝতে পারছেন সেটি দিবেন না। ঐ ক্যাপচা পরিবর্তন করে অন্য ক্যাপচা দিয়ে কোড পূরন করুন যেটি বুঝতে পেরেছেন।
অনেক আলোচনা হল- তাহলে এবার মুল কাজ শুরু করা যাক-
১| যারা একাউন্ট তৈরি করতে আগ্রহী তারা আমার এই রেফালেল লিংকে ক্লিক করুন-
রেজিঃ এর জন্য নিম্নরুপ এন্টারফেস আসবে–এটি রেজিষ্ট্রেশনের প্রথমধাপ
২। যে একাউন্টি ওপেন করতে চান সেটিতে ক্লিক করুন । ডান পাশে সবুজ চিহৃ দেখাবে। অতপর l
Next এ-ক্লিক করুন। রেজিঃ এর জন্য নতুন আরেকটি উইন্ডো আসবে-
৩। এখানে আপনার যাবতীয় তথ্য লিখতে হবে যেমন-
১. Sollution- এখানে MR. or, Mrs যে কোন একটি সিলেক্ট করুন
২. নামের ক্ষেত্রে ১ম ও শেষ অংশ নিদিষ্ট ঘরে লিখুন। যেমন- কারো নাম যদি হয় Nowrin afroj pompa তাহল প্রথম অংশে Nowrin afroj ও pompa শেষ আংশে লিখতে হবে।
৩. Region- এখানে অঞ্চল উল্লেখ করতে হবে। এখানে আপনি ASIA দিন বা অন্য কিছু দিতে পারেন।
4. Postal Code- নিজ এরিয়ার পোষ্টাল কোড দিন যেমন-৬১০০
5. Home Phone- এখানে আপনার বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি দিন। মনে রাখবেন পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট Verification করতে হলে এই নম্বরটি সচল থাকতে হবে।
6. Occupation- এখানে Student হিসাবে সিলেক্ট করুন
7. Date of Birth- এখানে আপনার জন্মতারিখের তথ্যগুলি দিন। যেমন- ১০/১০/১৯৯০
(উল্লেখ্য- এখানে আপনার নাম ও মেইল ঠিকানা বাদে পরবর্তীতে একাউন্ট প্রোফাইল থেকে সবকিছুই আপডেট করতে পারবেন।)
৪। সবকিছু পূরন করে Next এ-ক্লিক করুন। অতপর রেজি ২য় ধাপের উইন্ডো আসবে-
Email Address- আপনার মেইল ঠিকানা দিন।
Pasword & Re enter password- পাস ওয়ার্ড দিন। এখানে কিন্তু মেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড নয়।নতুন পাসওয়ার্ড দিতে হবে। রি-টাইপে একই পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
Transaction PIN- নিদিষ্ট কোন সংখ্যার নম্বর দিন। যেমন- ৯০৭৬২০
Re enter Transaction PIN- একই নম্বর দিতে হবে।
Password recovery- এই অপশন থেকে একটি প্রশ্ন সিলেক্ট করুন ।
Answer- এখানে তার উত্তর লিখুন
Third party Information- Yes/NO। ।এখানে NO সিলেক্ট করে রাখাই ভাল। আমি একাউন্ট ওপেন করার সময় NO সিলেক্ট করেছিলাম।
Word verification- এখানে সঠিকভাবে ক্যাপচা পূরন করতে হবে।
পরিশেষে You acnowldge that You have read ……… Alert pays তে টিক মার্ক দিন।
৫। Final Step – এ ক্লিক করুন।
৬। এখানে আপনি যে মেইল ঠিকানা দ্বারা রেজিঃ করেছেন সেখানে মেইল verification হিসাবে একটি ম্যাসেজ যাবে। এখানে আপনার এলার্ট পে একাউন্ট Active করার লিংক থাকবে। ঐ লিংকে ক্লিক করলে Alert pay এর পেজ ওপেন হবে এবং আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। অতপর আপনি পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার এলার্টপে একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন। মেইল verification সঠিক হলে একটি Thank You/Welcome হিসাবে ম্যাসেজ প্রদর্শিত হবে।
ব্যাস! আপনার এলার্ট পে একাউন্ট তৈরি করার কাজ সম্পূর্ণ শেষ। এখন আর কোন চিন্তা নাই! নিশ্চিন্তভাবে আপনার এই একাউন্ট দ্বারা অর্থ লেনদেনের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করাতে পারবেন।
Note-
সব সময় মনে রাখবেন আপনার যে ইমেইলটি দিয়ে এলার্টপেতে সাইন করেছেন ঐ ইমেইল একাউন্টটি পুরোটাই আপনার এলার্টপে এড্রেস।
– আপনার এই একাউন্ট কিন্তু কোন সময় নষ্ট হবে না। অর্থাৎ কিছু সাইট থাকে যেখানে প্রতি ২ মাস অন্তর সেখানে প্রবেশ না করলে একাউন্ট ডিলেট হয়ে যায়। এলার্টপে কিন্তু এই সকল সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
– কিন্তু এলার্টপেতে যদি কোন এমাউন্ট নিয়ে আসেন তাহলে তা প্রতি ১৮ মাসের মধ্য কার্ড বা চেক দ্বারা অবশ্যই উত্তলোন করতে হবে। যদি না করেন-তাহলে ১৮ মাসের পর থেকে প্রতিদিন নিদিষ্ট হারে আপনার একাউন্ট থেকে এলার্ট পে কর্তৃপক্ষ চার্জ কেটে নিবেন।
জরুরী বিষয়-
এলার্টপে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে উপরের লিংক থেকে আমার পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিয়ে ঝটপট পড়ে ফেলুন। এখানে কিভাবে আপনার প্রোফাইল ফাইলকে সাজাবেন? নিজের মত কাষ্টমাইজ করবেন? কিভাবে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করবেন তার সব কিছুই এই পিডিএফ ফাইলে থাকছে।
অনেকে হয়ত প্রশ্ন করবেন, পিডিএফ ফাইলে দেবার কি প্রয়োজন? এর প্রতিউত্তরে বলব, ইন্টারনেটের যে গতি বিশেষ করে গ্রামীন ফোন সংযোগের যেন কচ্ছপ গতি। এই পোষ্টটি সাজাতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তাই উক্ত অসুবিধার কথা বিবেচনা করে সুবিধার্থে পিডিএফ লিংক করতে হল।
যাইহোক এলার্ট পে সম্পর্কে অনেক কথা লিখা হল। এখন আপনাদের এই পোষ্টটি কতটুকু উপকারে আসবে তা সঠিকভাবে বলতে পারব না। তবে যদি কোনো ভাই বা বন্ধুর উপকারে আসে তাহলে আমার এই লেখার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব। তাছাড়া এই পোষ্টটি করতে বহু বাণানের ভূল থাকতে পারে কিংবা উস্থাপনাতে অনাকাংখিত ভূল থাকলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবাণ রাখছি। আমার এই পোষ্টটি করতে অনেক বন্ধুরাই অর্থা আমাদের ব্লগটিমের সদস্যরা সহযোগীতা করেছেন- তাদের মধ্য মরিয়ম, সুমন, অআসলাম, বুলবুল সহ অনেকেই সাহায্য করেছে ও অনুপ্রেরনা দিয়েছে। তাদের সকলকে অশেষ ধন্যবাদ। এখানে এই পোষ্টটি আমাদের মতামতনুসারে লিখেছি এবং কিছু মাসিক পত্রিকার রেফারেল নিয়েছি তথা- কম্পিউটার জগতের জনপ্রিয় আইটি লেখক- জনাব, মো জাকারিয়া চৌধুরী সাহেব। আমরা সবাই তার নিকট কৃতজ্ঞ।
আরেকটি কথা আমার এই লেখার বা প্রতিবেদনের কোন অংশ বা লেখা কোনরুপ কাট বা কপি করবেন না এবং অন্যজনের নিকট শেয়ার করবেন না।
আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকুন। পিসি হেল্প লাইনের সাথেই থাকুন।
-এএমডি-মরিয়াম-আসলাম-বুলবুল-সুমন
http://www.migahost.com/users/Durerbondhu
http://www.migahost.com/free12831.html
N.B- : PLEASE DO NOT COPY MY ANY COLLECTION & AND DO NOT SHARE IT OF OTHER PERSONS ™ AMD
7 comments
1 ping
Skip to comment form ↓
tubal
18/02/2012 at 12:14 পূর্বাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
Thanks vai
Moriom
20/05/2012 at 6:15 পূর্বাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
ধন্যবাদ
অপু
18/02/2012 at 9:29 পূর্বাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
ভাই আপনাকে Thanks , এখানে আমি নতুন আপনি দয়াকরে আপনার ইমেল এড্রেশ দিয়েন বা আমার opu125@gmail.com এ আপনা কন্টাক নাম্বার টা দিয়েন। plz..
Moriom
20/05/2012 at 6:16 পূর্বাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
ব্লগ বিরোধী কাজ হবে। তাই না দেবার জন্য দু:খিত।
AMiTAV
23/02/2012 at 5:48 পূর্বাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
ভাইয়া, alertpay তে টাকা জমা করতে কি account verified লাগে?? নাকি verified করে টাকা পাঠাতে হয়?? জানালে ভীষণ উপকৃত হবো…
Moriom
20/05/2012 at 6:18 পূর্বাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
এই পোষ্টের ২য় অংশটুকু পড়ুন। আসুন ঝটপটভাবে এলার্টপে একাউন্ট তৈরি করে নিই A-Z! ও আলোচনার ব্যবহার কৌশল (২য়/শেষ পর্ব)!!- কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
REAZ GRz
27/05/2012 at 8:21 অপরাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
alart pay er card ba cheak boi pabo kivabay?
আসুন ঝটপটভাবে এলার্টপে একাউন্ট তৈরি করে নিই A-Z! ও আলোচনার ব্যবহার কৌশল (২য়/শেষ পর্ব)!! » টেকটুইটস
16/05/2012 at 6:21 পূর্বাহ্ন (UTC 6) Link to this comment
[…] […]