মহানবী (সাঃ) কে অবমাননা নিয়ে কিছু কথা (পার্ট-১)
“The Innocence Muslim” নামক এই ইসলামবিরোধী চলচিত্র তৈরীর উদ্দেশ্য হলো চলচিত্রকারের Popularity বৃদ্ধি করা।
নিজের স্বার্থে ইসলামকে ছোট করে বিশ্বে ব্যপাক আলোড়ন সৃষ্টি রাতারাতি পরিচিতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল এই ভুয়াআমেরিকার নাগরিকত্ব সনদ প্রাপ্ত মিসরীয় পরিচালক।
কিন্তু মাত্র ৪ মিনিটের ছোট একটা রাসুল সাঃ এর ব্যঙ্গার্তক কার্টুন ট্রেইলারের জন্যই আমার লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভাইয়ের এক্যই প্রমান করে ISLAM IS THE BEST HUMANITY .
…..ফেঁসে গেছি আমরা মুসলিম…
“দা ইন্নোসেন্স অফ মুসলিমস” চলচিত্র প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজ বলেছে “আমরা গুগলকে এই ভিডিও সরিয়ে নিতে বলেছি কিন্তু গুগল তা সরাসরি তা প্রত্যাক্ষান করেছে।”
এই কথা বলে আমেরিকা পার পেতে চাচ্ছে।
কিন্তু এটা কি যুক্তির কথা?
মুলত আমেরিকাই ষড়যন্ত্র করেছে তাই ওরা প্রতিবাদ করছেনা।
এখনও Alan কে ধরাই হয়নি।
বিচার হচ্ছেনা তাদের,
গুগল বন্ধ করেনি ভিডিওটির প্রচারনা ইত্যাদি ইত্যাদি অস্থির পরিবেশ।
আমেরিকার নীরবতাই প্রমান করে তারা দোষী।
বিশাল একটা চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে ইহুদি খ্রিষ্টান। এখন আমরা চূপ থাকলেওবিপদে পড়ব আবার প্রতিবাদ করলেও বিপদে পড়ব।
যদি আগুন লাগাই তাহলে বিপদ আমাদেরই।
তখন তারা বলবে,
“ইসলাম হলো সন্ত্রাস। Terrorism is theanother name of Islam . সুতরাং এটি একটি নিষ্ঠুর ধর্ম”। এইভাবে ইসলামকে ছোট করবে তারা।
লেবাননে মার্কিন রাস্ট্রদূত স্টিফেন স্ট্রিকোকে হত্যা করা হয়েছে। এই উছিলায় যদি আমেরিকা নৌবহর নিয়ে গিয়ে সব ধ্বংস করে দেয় তখন আমাদের কি কিছু করা থাকবে?
আমাদের অস্ত্র নাই।
আত্মরক্ষায় অস্ত্র রাখলেও “আল কায়দা” হিসেবে চিহ্নিত করবে তারা।
একজন মার্কিন সৈন্যের বিনিময়ে ৭০০ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে USA . তাহলে তাদের কাছে ক্ষমতাটার লোভ কত বড় তা বুঝতে পারছেন?
তারা সম্পদ চায়, তেল চায়, ক্ষমতা চায়।
ওরা ধর্মকে বেইল দেয়না। তারা চায় গোটা পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা।
তাই মুসলমানকে উসকে দিয়ে পরে সব মেরে সাফ করে দিয়ে একা রাজত্ব করতে চায় আমেরিকান খ্রিষ্টান।
আবার যদি চুপ করে থাকি তাহলে তারা প্রতিবেদন বের করবে “ইসলামে প্রতিবাদ করা হারাম সুতরাং এটি একটি অযৌক্তিক ধর্ম।”
তারা জোর বলবে “মুসলমানদের কোন ঐক্য নাই, তারা নবীকে ভালবাসেনা, আল্লাহ নবীর ইজ্জত রক্ষা করতে পারলোনা” ইত্যাদি ইত্যাদি।
তারপর বার বার এরকম চলচিত্র বের করবে ইহুদিরা।
আস্তে আস্তে রাসুলের অশ্লীল ছবি দিয়ে সাজিয়ে তুলবে সকল পর্ণসাইট। পর্ণগ্রাফীতে “মুসলিমস ক্রিয়েশন” উল্লেখ করবে।
এভাবে মুসলমান জাতীকে বিভ্রান্ত করে তারা মুসলিম দেশগুলো দখল করবে।
এটাই তাদের প্ল্যান।
আর আমরা দক্ষ ইসলামি গবেষক ও নেতৃত্বের অভাবে ফেঁসে গেছি। দোষ আমাদেরই।
রাসুল সাঃ তার বিদায়হজ্বের ভাষণে বলেছিলেন,
“তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে গেলাম। এই দুইটি জিনিস যতদিন আঁকড়ে ধরে রাখবে ততদিন তোমাদের কোন বিপদ আসবেনা।
জিনিস দুটি হলো, আল কুরআন ও রাসুলের আদর্শ (from hadiths) ।”
কিন্তু আজ আমরা নিজেরা কুরআন হাদিস পড়িনা, বুঝিনা। অন্য কেউ যা বলে সেটাই মেনে নিই যাকে কাজের সময় পাওয়া যায়না। আমরা রাসুলের শেষ দুটি উপহার আকড়ে ধরে রাখতে পারছিনা তাই বিপদগ্রস্ত হচ্ছি।
তাই এখন একটাই পথ, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন,
“হে আল্লাহ, আজ ইহুদি খ্রিষ্টানদের কুপরিকল্পনার হাত থেকে আমাদের আপনি সেইভাবে রক্ষা করুন, যেমন ভাবে কাবা রক্ষা করেছিলেন নমরুদের হাত থেকে।